পাবনা সদর উপজেলার হামছিয়াপুর গ্রামে দিনে দুপুরে সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী ধর্ষণ করে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে।
সুবর্ণা সদর উপজেলার হামছিয়াপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ও হামছিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ধর্ষক নিহাদ হোসেন (১৭) একই গ্রামের জামাত আলীর ছেলে।
নিহতের আত্মীয় স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সুবর্ণাকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত নিহাদ। নিহাদের অত্যাচারেই সুবর্ণা বাবার বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ি থেকে স্কুলে পড়াশোনা করত। কয়েকদিন হলো সুবর্ণা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আজ দুপুরে সুবর্ণাকে বাড়িতে একা রেখে ডোবায় পাট ধুয়ার কাজে যান তার মা। এসময় সুযোগ বুঝে নিহাদকে বাড়িতে একা পেয়ে সুবর্ণাকে ঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে। এসময় প্রচুর রক্তক্ষরণে সে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের মা পুলিশকে বলেছে পাশের বাড়ির ছেলে নিহাদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরেছে। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ডাক্তারি রিপোর্ট অনুসারেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।